হৃদরোগে ফিজিওথেরাপি ও পূনর্বাসন চিকিৎসা

হৃদরোগে আক্রান্ত রোগিদের ফিজিওথেরাপি ও পূনর্বাসন চিকিৎসা হচ্ছে সমন্বিত স্বাস্থ্য পেশাজীবীদের এমন একটি প্রক্রিয়া যার মূল লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য হচ্ছে হৃদরোগে আক্রান্ত রোগীদের সর্বোচ্চ শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্য সুরক্ষা ও নিয়ন্ত্রণ করে তাদের হৃদ রোগের জটিলতা কমিয়ে আনা। ফিজিওথেরাপি ও পূনর্বাসন চিকিৎসা হৃদরোগে আক্রান্ত প্রায় সকল রোগীকেই দেওয়া হয়ে থাকে। Ischemic Heart Disease (IHD), Myocardial Infarction (MI), Coronary Angioplasty, Coronary-Aortic Bypass Graft (CABG) surgery এবং Chronic Heart Failure (CHF) ইত্যাদি রোগে আক্রান্ত রোগীদের ফিজিওথেরাপি ও পূনর্বাসন চিকিৎসা নিতে উপদেশ ও পরামর্শ দেওয়া হয়। রোগীর শারীরিক অবস্থা ও জটিলতা বিবেচনা করে ইনটেনসিভ কেয়ার ইউনিট (ICU) থেকেই হৃদরোগে আক্রান্ত রোগিদের ফিজিওথেরাপি ও পূনর্বাসন চিকিৎসা শুরু করা যায়, যা একজন ফিজিওথেরাপি চিকিৎসক রোগীকে পর্যবেক্ষণ করে ও শারীরিক সক্ষমতা দেখে সিদ্ধান্ত নিয়ে থাকেন।
হৃদরোগে ফিজিওথেরাপি ও পূনর্বাসন চিকিৎসার উদ্দেশ্যঃ 
১) হার্টের কার্যকারিতা রক্ষা ও বৃদ্ধি করা।
২) হৃদরোগের কারনে হঠাৎ মৃত্যু রোধ করা ও কমানো। 
৩) শ্বাস কষ্ট ও বুক ব্যাথার মত উপসর্গ কমানো।
৪) শারীরিক কর্মক্ষমতা নিয়ন্ত্রণ ও বৃদ্ধি করা।
৫) রক্তনালীতে চর্বি জমা প্রতিরোধ করা।
৬) হৃদরোগে আক্রান্ত / হৃদরোগের অপারেশনের পর আগের শারীরিক সক্ষমতা সর্বোচ্চ ফিরিয়ে আনা। 
৭) স্বাধীনভাবে দৈনন্দিন কাজ-কর্ম সম্পাদনের উপযুক্ত করে তোলা।
৮ ) রোগীর মানসিক চিন্তা কমানো।
১০ ) হাসপাতালে অবস্থান ও চিকিৎসা ব্যয় কমানো।

 হৃদরোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুকিপূর্ন কারনঃ 
১) বয়সঃ সাধারনত ৪০ বছরের পর থেকে হৃদরোগের ঝুকি বাড়তে থাকে।
২) লিঙ্গঃ মহিলাদের চেয়ে পুরুষরা হৃদরোগের ঝুকিতে বেশি থাকেন।
৩) পূর্বে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে থাকলে।
৪) পরিবারের অন্য কেউ (বাবা,মা,ভাই,বোন,দাদা-দাদী ইত্যাদি হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে থাকলে)।
৫) উচ্চ রক্তচাপ ও ডায়াবেটিস থাকলে। 
৭) স্থুলতা (অতিরিক্ত ওজন ) থাকলে।
৬) ধূমপান ও মদ্য পান করার অভ্যাস থাকলে।
৮) রক্তে চর্বির পরিমান বেশি থাকলে। 
৯ ) নিয়মিত ও পর্যাপ্ত শারীরিক পরিশ্রম না করলে।
১০) ঘুম কম হলে (৬- ৮ ঘন্টার) ও চিন্তাগ্রস্ত থাকলে ।

মোঃ রাসেল আহমেদ।
ব্যাচেলর অব ফিজিওথেরাপি (জিবি-৩১)
contact-form
Previous Post Next Post