হাড় ক্ষয় বা অস্টিওপোরোসিস একটি নীরব ঘাতক। কোনো ধরনের উপসর্গ ছাড়াই মানুষ এ রোগে আক্রান্ত হয়। আর একবার আক্রান্ত হওয়ার পর কোনো চিকিৎসাতেই এ রোগ থেকে সেরে ওঠা তেমন একটা সম্ভব হয় না।
সাধারণত নারীরা এ রোগে বেশি আক্রান্ত হয়। ৫০ বছরের বেশি বয়সী নারীদের জন্য এটি প্রায় কমন রোগে পরিণত হয়েছে। তবে বর্তমান সময়ে পুরুষেরাও এ রোগের ঝুঁকিতে রয়েছে।
যে কারনে হাড় ক্ষয় হয়ঃ
- জেনেটিক্যাল ফ্যাক্টর অর্থাৎ পরিবারের কারো এ রোগ থাকলে আপনারও হতে পারে৷
- বিভিন্ন ঔষধের প্বার্শপ্রতিক্রিয়ার ফলে।
- ডায়াবেটিস এর কারনে।
- লিভার ও কিডনি রোগে ক্ষেত্রেও হাড় ক্ষয় রোগের ঝুঁকি থাকে৷
- সাধারনত মেনোপজ পরবর্তী ( যে বয়সে মহিলাদের আর বাচ্চা হয় না, ৫০ এর উর্ধ্ব বয়সী নারী)।
- যারা নিয়মিত সঠিক নিয়মে ব্যায়াম করে না।
- উচ্চতা অনুসারে যাদের ওজন কম।
- যারা নিয়মিত ও পরিমানমত ক্যালসিয়াম ও ভিটামিন ডি জাতীয় খাবার খায় না।
- যারা ধূমপান ও মদ্যপান করে।
- ইস্ট্রোজেন ও টেস্টোস্টেরন হরমোনের মাত্রা কমে গেলে।
- থাইরয়েড ও প্যারাথাইরয়েড হরমোনের মাত্রা বেড়ে গেলে।
সাধারন হাড়ের তুলনায় অস্টিওফাইটিক হাড়ের ঘনত্ব কম হওয়ায় তা ভেঙ্গে যাওয়ার ঝুঁকি বেশি। |
- অস্টিওপোরোসিস বা হাড় ক্ষয় রোগের প্রতিরোধের চেয়ে প্রতিকার উত্তম।
- নিয়মিত ব্যায়াম করুন,নিয়মিত ব্যায়ামে হাড়ের শক্তি বাড়ে। এতে হাড়ের চলাচল বৃদ্ধি পেয়ে জয়েন্ট গুলোকে সচল রাখে।
- নিয়মিত পরিমানমত ক্যালসিয়াম ও ভিটামিন ডি জাতীয় খাবার খেতে হবে। ক্যালসিয়ামের জন্য নিয়মিত মাছ, মাংস, দুধ,ডিম ও দুধজাতীয় খাবার খেতে হবে। ভিটামিন ডি এর ৯০ ভাগ উৎস হলো সূর্যের আলো। তাই প্রতিদিন ১৫ থেকে ৩০ মিনিট সূর্যের আলোতে থাকুন, পাশাপাশি সামুদ্রিক মাছ খান।
১) ধূমপান ও মদপান ত্যাগ করুন। কারন, এতে হাড়ের ক্ষয় বৃদ্ধি পায়।
২) লিভার ও কিডনি রোগ নিয়ন্ত্রণে রাখার চেষ্টা করুন।
৩) রাতে ঘরে মৃদু আলো জ্বালিয়ে রাখুন।
৪) অতিরিক্ত ওজন বহন করবেন না।
৫) চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী ঔষধ সেবন করুন।