ফুড পয়জনিং এর কারন প্রতিকার ও চিকিৎসা

ফুড পয়জনিং কি?
ফুড পয়জনিং বর্তমান সময়ে খুবই পরিচিত একটি সমস্যা। প্রতিবছর প্রায় প্রতি ৭ জনে ১ জন ফুড পয়জনিং বা খাদ্য জনিত অসুস্থতায় ভোগে।
"যদি কোন খাবার খেয়ে বারবার বমি, পাতলা পায়খানা, জ্বর, পেট ব্যথা শুরু হয়, তাহলে বুঝতে হবে ফুড পয়জনিং হয়েছে।"

ফুড পয়জনিং কাদের বেশি হয়?
  • গর্ভবতী নারী
  • ছোট শিশু
  • বয়ষ্ক মানুষ এবং 
  • যাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা দুর্বল (ডায়াবেটিস, লিভার বা কিডনি রোগ আক্রান্ত মানুষ) ফুড পয়জনিং এ ভোগার সম্ভাবনা বেশি।

উপসর্গঃ
*১০২-১০৩ ডিগ্রী বা তার চেয়ে বেশি জ্বর থাকা।
*তিন দিনের বেশি বমি হতে থাকা।
*খুব বেশি পেটে ব্যথা হতে থাকা।
*বমি কিংবা পায়খানার সাথে রক্ত বের হওয়া।
ফুড পয়জনিং এর কারনঃ
★ সাধারনত বাসি-পচাঁ ,অস্বাস্থ্যকর ও জীবানুযুক্ত খাবার খেলে ফুড পয়জনিং এর সম্ভাবনা থাকে।
★ অনেক্ষন গরমে থাকার ফলে নষ্ট হয়ে যাওয়া খাবার খেলে ফুড পয়জনিং হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।
★ খাবারের জন্য ব্যবহৃত থালা-বাটি ভালভাবে পরিষ্কার না করার ফলে এ সমস্যা হতে পারে।
★ খাবার আগে ভালভাবে হাত না ধুলেও ফুড পয়জনিং হতে পারে।
★ রাস্তার তৈরি সরবত,  জুস, ভাজাপোড়া খাবার খেলে ফুড পয়জনিং এর সম্ভাবনা অনেক বেশি।
প্রতিরোধের উপায়ঃ
★ রাস্তার খোলা খাবার খাবেন না।
★ গরমে পিপাঁসা মিটাতে ডাব, মিনারেল ওয়াটার বা বিশুদ্ধ পানি খেতে পারেন।
★ বাসায় পানি ফুটিয়ে পান করুন।
★ থালা-বাটি ভালভাবে ধুয়ে ব্যবহার করুন।
★ খাবার আগে অবশ্যই হাত ধুয়ে খাবার গ্রহন করুন।
★ দুধ, কলা, ফলমূল বেশিদিন পুরোনো হয়ে গেলে খাবেন না।
★ রমজান মাসে হোটেলর এবং রাস্তাঘাটের তৈরি খাবার এড়িয়ে চলুন।
★ যতটা সম্ভব টাটকা খাবার খাওয়ার চেষ্টা করুন।
★ খাবার ঠিকমত ঢেকে রাখুন।
চিকিৎসাঃ
বারবার বমি, পাতলা পায়খানার মাধ্যমে শরীরে পানি শূন্যতা হতে পারে। তাই পানি শূন্যতা দূর করতে অবশ্যই বেশি  বেশি ডাবের পানি, স্যালাইন, শরবত, জুস ইত্যাদি খাওয়া যেতে পারে।
রোগীর অবস্থা বেশি খারাপ হলে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
চিকিৎসকের পরামর্শ ব্যতীত রোগীকে এন্টিবায়োটিক সেবন করাবেন না। রোগী  যদি মুখে খেতে না পারে তবে চিকিৎসকেরা শিরার মাধ্যমে স্যালাইন দিয়ে চিকিৎসা করে থাকেন।

ফুড পয়জনিং রোধে নিজের সচেতনতাই সবচেয়ে বেশি।কাজেই নিজে সচেতন হোন এবং সচেতনতা ছড়িয়ে দিন।

Previous Post Next Post